No products in the cart.
Empire of Cotton
Roll over image to zoom in
₹675.00₹900.00 (-25%)
Sven Beckert is Laird Bell Professor of American History at Harvard University, where he teaches the history of the United States in the nineteenth century, and global history. With Christine A. Desan, he is the co-director of the Program on the Study of Capitalism at Harvard University.
He is the author of Empire of Cotton: A Global History (2014), which won the 2015 Bancroft Prize and was a finalist for the 2015 Pulitzer Prize for History. The New York Times called it “one of the ten best books of 2015.”
Economic historian Peer Vries wrote that it was “a must read for every historian interested in global history, but in my view it is better as a story on cotton than as an analysis of capitalism.”
কেন এম্পায়ার অব কটন পড়ব?
স্বেন শুধু তুলোর বিশ্ব ইতিহাস লেখেন নি, পুঁজির বিশ্ব দখলদারিও লিখেছেন
ঐতিহাসিক বেকার্ট অসামান্য দক্ষতায় অসীম ধৈর্যে খুঁটে খুঁটে তুলে আনেন পুঁজির লুঠ খুন অত্যাচারে চাষী, কারিগরকে শ্রমিক বানানোর পদ্ধতি।মূলত নিজের বাজারে ঘোরাফেরা করা সাধারণ মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে যে ধনসম্বল অছি হয়ে আগলে রাখেন তাঁর আঁচল আর ধুতির খুঁট দিয়ে, সেটিকে সবলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগে লুঠ দখল করে বিশ্ব বাজার আদতে আমেরিকিয় ইওরোপিয় পুঁজিপরিদের তাঁবেতে নিয়ে যাওয়ার অভিচারগুলি তিনি বেআব্রু করে দেন।
পুঁজির নতুন ইতিহাস শুরু করল পুঁজিবাদের সেই কর্মকাণ্ডগুলি নিয়ে বিশদ ব্যতিক্রমী আলোচনা, যে অভিচারগুলি পুঁজিবাদ সযত্নে চাকচিক্যময় মোড়কে ঢেকে রাখতে চায়। স্বেন সেই ঢাকনাটা তার মত করে উন্মোচন করেছেন। এত দিন ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে পুঁজিবাদের উত্থান ঘটেছে নতুন নতুন যান্ত্রিক উদ্ভাবনার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু স্বেন দেখান যুদ্ধপুঁজিবাদ বা মার্কেন্টিলিজম এশিয়া আফ্রিকা আর আমেরিকা শোষণ করে, নতুন বাজার দখল করে, দেশে দেশে শ্রম ব্যবস্থা আর সামাজিক কাঠামো ভেঙ্গে চুরে, অন্য দেশের জমি বলপ্রয়োগে দখল করে যে বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করল, তার ফলেই পুঁজিবাদের উত্থান। সেই অভিচারী কাজগুলি না হলে শুধুমাত্র যান্ত্রিক উদ্ভাবনেই পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটত না, পুঁজিও ইওরোপে সংহত হত না।
ইংলন্ডে প্রথম মিলটি তৈরি হল ১৭৮০র দশকে নদীর শক্তিতে ওয়াটার ফ্রেম ইত্যাদি যন্ত্র চালিত করে। যুদ্ধপুঁজি যদি বিগত বছরগুলিতে বাংলা/ভারতের শাসন ব্যবস্থা দখল, কারিগরদের অধিকার ধ্বংস এবং বিশিল্পায়ন, আমেরিকায় জমি দখল করে দেশিয়দের খুন উচ্ছেদ করে আফ্রিকা থেকে লক্ষ লক্ষ দাস আমদানি করে দাস ব্যবস্থা নির্ভর তুলো বাগিচা তৈরি, সেনাবাহিনী পাঠিয়ে বিশ্ব জুড়ে বাজার দখল না করতে পারত, তাহলে এই মিলগুলি বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পেত না এবং মিলের উৎপাদন অকেজো হয়েই পড়ে থাকত, উৎপন্ন পণ্য দখল করা বাজারে পৌঁছতে পারত না, ইওরোপের পক্ষে বিপুল পুঁজি সংহত করা সম্ভব হত না। রাজনৈতিক দখলের পরে বিশিল্পায়ত এশিয়া(মূলত বাংলা পরে ভারত) থেকে ভর্তুকি লন্ডনে না পৌঁছলে যান্ত্রিক উদ্ভাবনগুলি ঘটত না। এই ধ্বংসাত্মক কাজ করে ইওরোপ যে বিপুল পুঁজি জোগাড় করেছে তার ভিত্তিভূমিই হল ৩০০ বছরের চেষ্টায় যুদ্ধ পুঁজিবাদ গায়ের জোরে বিশ্বব্যবস্থা পাল্টে নিজের তাঁবেতে নিয়ে আসা।
এই ধ্বংসযজ্ঞের কথক হয়ে ওঠেন স্বেন। তাঁর এম্পায়ার অব কটন এক অসামান্য অন্তর্দৃষ্টি তৈরিতে সাহায্য করে। আমরা কারিগরেরা যারা এই এককেন্দ্রিক ইওরোপমন্য বিশ্ব ব্যবস্থার ভুক্তোভুগী, তাদের হয়ে তার মত করে লড়াই করেছেন স্বেন। তাই পুঁজির চলনকে দেখার নতুন ইতিহাস আমাদের সচকিত করে।
এবং আমাদের বাধ্য করে এই বইটি অনুবাদ করে প্রাথমিকভাবে বাঙলার কারিগর এবং তারপরে আপনারা যারা কারিগর বন্ধু, যারা পুঁজির চলকে বুঝতে চান খোলা চোখে, তাদের হাতে তুলে দিতে।
No more offers for this product!