Modhumoy Tamros 1st Part

663.00850.00 (-22%)

In stock

যে মানুষদের জীবন একটি দেশে সমাজ- সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে দিক-নির্ণায়ক হয়ে ওঠে তাঁদের নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টির প্রচলন আছে সব দেশেই। তাঁদেরই একজন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। উনিশ শতকের বঙ্গভুমিতে সমাজ প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা এক প্রবল ঝড়। সেই ঝড় বিধ্বস্ত করেছিল স্বয়ং তাঁকে।

Category:

সমীরণ দাস ১৯৮১-৮২- তে মধুসূদনকে নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা পাঠ করে সহসা বিদ্যুৎ-পৃষ্ঠ হয়েছিলেন। লেখক হতে গেলে এভাবেই সমর্পণ করতে হবে জীবনের সর্বস্ব! চলল অবিরাম সন্ধান। মিলিত হল তথ্য সম্ভারের সঙ্গে ঔপন্যাসিকের কল্পনা। সেই শ্রম আর নিবিড় মুগ্ধতার ফসল এই উপন্যাস ‘মধুময় তামরস’। তামরস কথাটির অর্থ রক্তকমল। মহাকবির জীবন আর জীবন-বাসনা, ব্যর্থতা আর সাফল্যের সংরক্ত লেখচিত্র এই উপন্যাস।

লেখক পরিচিতি / About Author

সমীরণ দাসের জন্ম ১০ই জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে একটি অত্যন্ত সাধারণ। কিন্তু স্কুলজীবন থেকেই ছিল লেখক হওয়ার স্বপ্ন। নানা প্রতিকূলতায় বিভিন্ন সময়ে তিনি লেখা ছাড়তে বাধ্য হলেও লেখা তাঁকে ছাড়েনি। প্রথম গল্প “ফুলি বাউরি কথা” প্রকাশিত হয়েছিল ‘আজকাল’ পত্রিকায়। তারপর লেখা প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। অতঃপর প্রায় দশ বছরের বিরতি। লেখার আঙ্গিক পালটে ফের আত্মপ্রকাশ প্রতিক্ষণ পত্রিকায়। গল্পের নাম ‘হাঁটা’। একটি যুবক সামনে হাঁটতে পারেনা, কিন্তু অবলীলায় পেছনে হাঁটে। লেখক বিশ্বাস করেন, আমরা যা সামনে দেখি- সবসময় সেই দৃশ্যাবলী সত্য নয়। সত্য লুকোনো থাকে বাস্তবতার আড়ালে। ইতিপূর্বে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ছয়।

          বর্তমান উপন্যাস “মধুময় তামরস” লেখার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন প্রায় দশটি বছর। ধরতে চেয়েছেন স্রোতের বিপরীতে চলতে থাকা প্রতিবাদী মধুকবিকে পূর্ণ মহিমায়। লেখকের বিশ্বাস তিনি সেটা পেরেছেন- যদিও প্রণম্য পাঠকই শেষ কথা বলবেন। শেষ বিচারক তাঁরাই।

No more offers for this product!

Main Menu